এই বইয়ের (মুহব্বত কি শায়েরী) প্রকাশক উজ্জ্বল সাহিত্য মন্দির, কলকাতা। গালিবের প্রেমের শায়েরীগুলি অনুবাদ করেছেন বহ্নিশিখা ভট্টাচার্য।
এর মধ্য থেকে কয়েকটি এখানে উল্লেখ করি।
আমি কাল রাতে বলেছিলাম গালিব, থেমে যাও,
তা নইলে দেখতে, কান্নায় ভেসে যেত আসমান।
ব্যবহারঃ ধরা যাক কেউ আগের দিন তার প্রেমিকার সাথে ঝগড়া করেছেন, এবং পরদিন তাদের মিলমিশ হচ্ছে। এই অবস্থায় গালিবের এই কবিতা উক্ত পরিস্থিতিতে ভিন্ন ব্যঞ্জনা হাজির করতে পারে।
ব্যবহারঃ এটি হইল প্রেমে সাময়িক বিচ্ছেদ পর্বে ব্যবহার করার মত পারফেক্ট কাব্য। যখন প্রেমিক/প্রেমিকা সাময়িক বিচ্ছেদে বিদায় নিচ্ছেন, তখন শেষবেলায় গালিবের এই কাব্য ছুঁড়ে দিয়ে চলে যেতে পারেন।
ব্যবহারঃ এটি হচ্ছে সিরিয়াস ঝগড়া বা বিবাদের শেষ স্থানে ব্যবহার করার মত। একে সাবধানতার সাথে ব্যবহার করতে হবে, যেহেতু পাওয়ারফুল। কারণ মিলনের আকাঙ্খিত মুহুর্তের স্মৃতিও মুছে গেছে, তাহলে সে আগুন অনেক তীব্র হবার কথা।
ব্যবহারঃ প্রেমিকার অভিযোগে জর্জরীত প্রেমিক, ছুঁড়ে দিতে পারেন এ কাব্য।
ব্যবহারঃ দুঃখ পেয়ে বিদায় নেবার সময় প্রেমিক ব্যবহার করতে পারেন।
ব্যবহারঃ এটা এই বইয়ের সবচাইতে সেরা অনুবাদ। এর ব্যবহার হতে পারে, ভালো সময়ে বা দুঃখের সময়ে। একটু কাব্য করতে আর কি। যেমন প্রেমিকা জিজ্ঞেস করল কি অবস্থা? তখন প্রেমিক ছুঁড়ে দিলেন এই কাব্য। এতে প্রেমিকা বিষম খেয়ে কিছুক্ষণ দ্বিধায় ভুগতে পারেন, আসলে কি হইছে।
ব্যবহারঃ একজন দুঃখ পাওয়া প্রেমিক, তার প্রেমিকারে বুঝাতে যে তিনি দুঃখ পেয়েছেন।
ব্যবহারঃ প্রেমিকা যখন সাময়িক বিচ্ছেদের পর, জিজ্ঞেস করছে, প্রেমিক কোথায় আছে, তখন প্রেমিক ছুঁড়ে দিতে পারেন এই অসাধারণ কাব্য।
(মির্জা আসাদুল্লাহ খান গালিব ও তার কবিতা বিষয়ে একটি লেখা আছে আমার সাইটে।)