আমি মুরাদুল ইসলাম। লিটারারি আর্টস নিয়ে আমার কাজ। তারই এক অংশ এই সাইটের সকল কবিতা।
ফার্নান্দো পেসোয়া, পর্তুগিজ কবি, লিটারারি ক্রিটিক ও দার্শনিক; তার একটি হেটেরোনিম ছিল, নাম আলবার্তো কাইরো। এরকম প্রায় সত্তরটি হেটেরোনিম তিনি তৈরি করেছিলেন লেখালেখির জন্য। হেটেরোনিম ছদ্মনামের চাইতে আলাদা। ছদ্মনাম যেখানে কেবল একটি নাম সেখানে হেটেরোনিম হলো একটা চরিত্র। পেসোয়া মনে করতেন হেটেরোনিমই ওই নামগুলির ও চরিত্রগুলির প্রকৃত বুদ্ধিবৃত্তিক অবস্থান তুলে ধরতে পারে, কেবল ছদ্মনামে যা সম্ভব নয়।
সেই আলবার্তো কাইরোর বয়ানে পেসোয়া লিখেছিলেন,
আমার কোন উচ্চাকাঙ্খা নাই, নাই বাসনা
কবি হবার উচ্চাকাঙ্খাও নাই
এটা কেবল আমার নিজের সাথে একা হবার তরিকা
আমার কবিতাগুলিকে আমি এইভাবে দেখব কি না ভাবি মাঝে মাঝে। কিন্তু নিজের সাথে একা হবার তরিকা’কে কেউ কি প্রকাশ করে?
বরং, এইভাবে বলা যায়, সকল লেখাই ব্যক্তিগত হলেও, এইখানের লেখাগুলি একটু বেশি ব্যক্তিগত।
কিন্তু, এই লেখা, লিটারারি আর্টের এই ফর্ম, এগুলি কী?
জন আশবেরী, আমেরিকান কবি ও আর্ট ক্রিটিক একবার বলেছিলেন, আই থিংক আই এম ট্রাইং টু রিপ্রডিউস দি পলিফোনি দ্যাট গোজ অন ইনসাইড মি…
অর্থাৎ, আমি যা অভিজ্ঞতা করছি, যে মিউজিক আমার ভেতরে যাচ্ছে, যে শব্দ ছবি কথার সমারোহ সেগুলিরেই আমি পুনরোতপাদন করছি, কিছুটা ভিন্ন ভাবে, ভিন্ন আঙ্গিকে, হয়ত।
এইটাই লাইফ। দেখা, অনুভব করা আর সেগুলিরে নানা ফর্মে তুলে ধরা।
আমার এই ভ্রমণের একটা অংশ এই কবিতাগুলি। কারো ভালো লাগলেও এগুলি আমার, মন্দ লাগলেও আমার।
দ্যাটস মি। এবং এইভাবে বাইরের পলিফোনি, বাইরের মিউজিক ভেতরে গিয়া যে ভিন্নরূপে প্রকাশ হয় তা ব্যক্তিগত হয়ে ওঠে, আর একইসাথে তা সমগ্রতার সাথে যুক্ত করে।
–
মুরাদুল ইসলাম
আগস্ট ১২, ২০২০
রাত ১ টা ১, মিশিগান টাইম।