আমি পেইন্টার না, আমি হইলাম কবি।
কেন? আমার তো মনে হয় আমি হইতাম একজন পেইন্টার,
কিন্তু আমি তো পেইন্টার না,
উদাহরণস্বরূপ, একবার মাইক গোল্ডবার্গ ছবি আঁকা শুরু করছে। আমি গেলাম তার ওইখানে।
“বইয়া ড্রিংক করো”, সে বললো
আমি ড্রিংক করলাম, সেও করলো, এরপর আমি তার ছবির দিকে তাকাইলাম
“সারদিন আঁকছো দেখি”
“হ, ওইখানে কিছু দেওয়া লাগে”
“অ” আমি বলি, এরপর উইঠা চলে আসি, দিন যায়। এরপর আবার যাই আরেকদিন।
ছবি আঁকা তখনো চলতেছে, এবং আমি চইলা আসি। দিন যায়। আরেকদিন যাই।
ছবিটা শেষ হইছে।
“সারদিন কই” আমি জিগাই।
যা রইছিল কেবল কিছু বর্ণমালা
মাইক বললো, “বেশি হইয়া গেছিল।“
আর আমি? একদিন ভাবতেছিলাম রঙ নিয়া, কমলা।
এক লাইন লেখলাম কমলা নিয়া।
দ্রুত লাইন আর এক লাইন থাকলো না, পেইজ ভইরা গেল শব্দে শব্দে।
এরপর আরেক পেইজ। ওইখানে আরো অনেক কিছু থাকার কথা ছিল, কমলা নিয়া না, শব্দ নিয়া, কেমন ভয়ংকর হইয়া উঠে জীবন এবং কমলা এইসব নিয়া ।
দিন যায়। এইটা এমনকী গদ্যে, আমি হইলাম একজন আসল কবি। আমার কবিতা শেষ হইয়া যায় আর আমি কমলার নামই আনি নাই।
বারোটা কবিতা হইয়া যায়। আর আমি এইগুলারে ডাকি কমলালেবুরা।
আর একদিন এক গ্যালারিতে আমি মাইকের ছবিটারে দেখি, নাম ওইটার সারদিনগুলা।
—
আমেরিকান কবি ফ্রাংক ও’হারা এই কবিতাটি লিখেছেন। তার জন্ম ১৯২৬ সালে, মৃত্যু ১৯৬৬ সালে। মূল ইংলিশ কবিতাটি এখানে মিলবে। ফ্রাংক ও’হারা এই কবিতায় যে পেইন্টারের কথা উল্লেখ করেছেন তিনি আমেরিকান এক্সপ্রেশনিস্ট আর্টিস্ট মাইক গোল্ডবার্গ, তার বন্ধু। নিচের ভিডিওতে মাইক গোল্ডবার্গ এ নিয়ে কথা বলেছেন।
—
১১ আগস্ট, ২০২০