দীর্ঘদিন পর
ঘুম থেকে জেগে উঠে
দেখিলাম তোমারে, হাউজ গ্যাকো
লেজবিহীন!
শাস্ত্রীয় সংগীত না শুনতে পেয়ে
বেজায় বেজার!
হাউজ গ্যাকো আমার,
কেন এই বিষাদ
ব্যান্ড সংগীতে অরুচি ক্যানো তোমার?
কেনো তুমি দিলা লেজ বিসর্জন?
ব্যর্থ ডিফেন্স মেকানিজম!
আমি ধরতে চাই নাই তোমারে কোনদিন
ছাই দিয়ে বা না দিয়ে
কিন্তু তোমার এলিট বাসনা
রাখিল তটস্ত তোমারে
শ্যাষে তুমি হাউজ গ্যাকো আমার,
লেজবিহীন ঘুরে বেড়াও
যেন এক কানিং ফক্স
দেখতে ভালো লাগে না
তুমি কি এখন নির্জনে থাকো? একা একা?
তুমি কি এখন বুঝিতে পারো সঙ্গীতের দু:খ
কিংবা স্যাডনেস অব এ সলিটারি শীপ?
হাউজ গ্যাকো,
এই প্রতিক্রিয়ার কালে
তোমার নিজস্ব নিয়তির গতিপথ
বদলাইয়া তুমি হতে চাইলা এলিট
সমাজের ভেতরে থাকা ব্ল্যাকশিপদের
অস্তিত্ব অস্বীকার কইরা
তুমি নিলা রুপার প্রলেপ
কিন্তু হোয়াইটেরা তো হোয়াইট না
যতটা হোয়াইট দেখা যায়
অন্তরে নিজস্ব ব্ল্যাকহোল পুইষা
শুভ্র পোশাক আর রঙ
তাতে কি যায় আসে?
তার চেয়ে কি ভালো না একরঙ্গা ব্ল্যাকশীপ?
হাউজ গ্যাকো, নিরন্তর হাউজ গ্যাকোই রয়ে যায় কেন?
সেই প্রশ্নের উত্তর কি জানেন ক্লাসিক রুচিবান?
আর বিষাদের দিনে সব এন্টি ট্যাংক ডগেরা
জাতীয় রাবীন্দ্রিক ট্যাংকের নিচে
সভা করে
বিষন্ন সমাবেশ
তারা নাকী মরণের আগে স্বীকৃতি চায়
অবুঝ আত্মঘাতীদের উদ্ভট বাসনা
হাউজ গ্যাকো, তাহাদের বুঝাবে কেডায়?
তুমি তো এলিট হইতে চাইয়া হারাইলা লেজ তোমার
লেজ কি তোমার এখনো মাটিতে লাফায়?
নাকী সে নিরবে মাটির কাছাকাছি
আর
তার লাগি কেউ কান পাতি নাই
–
২০১৪, ৩০ নভেম্বর