অশীতিপর বটগাছে নেমে আসে চাঁদ
একাধিকক্রমে কয়েকটি পাখি দৌবারিক কুকুরের পিঠে চেপে
নীরদ আকাশের নীচে উপত্যকা ধরে হেঁটে যায়
এই করদ রাজ্য, পাংশুল ফসলের মাঠ
দেউরীর পাশে বাথান, তাতে আলোর প্রতিবিম্ব, অসংবৃত রাতের দুরতিক্রম্য ফাঁদ
ঋষিতুল্য বটগাছ, কয়রা গাত্রবর্ন তার
দাঁড়িয়ে একা, তার সমসাময়িক দূরের পাহাড়
পাতায় পাতায় প্রাকৃতিক শিঞ্জন, কিঙ্কন সেতার
নির্মোক ছেড়ে বেরিয়ে আসে উদ্বাস্তু সাপ, সহোদর খুজে ছুটে দুর্নিবার
অসমীক্ষিত বিপদের ক্ষণপ্রভা আলোতে আচ্ছাদিত পররাত্রের গা
আত্মকেন্দ্রিক, অদম্য এই অবীরা আলো আধারের ছায়া
রোরুদ্যমান বাতাসে অনন্যোপায় মন
তীব্র জিজীবিষা ডেকে আনে অকালবোধন।
অনুক্ত উচ্চারনরাশি ভেতরে নিয়ে অনুভব ভবিতব্য বিষাদের
থেমে থেমে কানে আসে হাড় হিম করা ভ্রুকুটির হাসি স্মার্ত,
শ্রুতিধর, বহুদর্শী বটগাছের।
অজ্ঞাতকুলশীল কাত্তিতে ঢেকে মরার মত শুয়ে থাকা নিস্তব্দ
এইভাবে যায় সময়, যায় শত অনধীত শতাব্দ।
-১৪ সেপ্টে, ২০১৬-